শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর:
রংপুর ব্যুরো
উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে রংপুরের তিন উপজেলাসহ নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরগুলোর কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, উজানের পাহাড়ী ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২. ১৫ মিটার ধরা হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সেখানে পানির লেভেল পরিমান করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৩৪ মিটার।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘন্টা ভারতের উজানে ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উত্তরের নদ-নদীগুলোর পানি দ্রæত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি, কোলকোন্দ, মর্ণেয়া, নোহালী, বড়াইবাড়ি, গজঘন্টা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকাসহ কাউনিয়া, বালাপাড়াম, গাজীরহাট, হারাগাছ, টেপামধুপুর, পীরগাছার ছাওলা, চর গাবুয়া, তাম্বুলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তিস্তার নদীর তীর এলাকায় পানিবৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মানুষজনসহ গবাদি পশু ও ফসলের আশংকা রয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে তবে এখন পর্যন্ত নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। বন্যা মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত গঙ্গাচড়াসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।